মনিরামপুর প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে কাত হয়ে পড়া ফেরি শাহ আমানত ঘাটে ভেড়ার আগেই পানি উঠতে শুরু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রী। কেন ফেরিটি ঘাটে এসে উল্টে গেল তা এখননো স্পষ্ট না হলেও সেই মুহূর্তের পরিস্থিতি উঠে এসেছে তাদের বর্ণনায়।
অমল ভট্টাচার্য্য নামে যশোরের মনিরামপুরের এক ব্যক্তি ফেরি উল্টে যাওয়ার সময়কোনোক্রমে উদ্ধার পেলেও তার মোটরসাইকেলটি হারিয়েছেন। তিনি বলেন, ফেরি ঘাটের কাছে আসার পর শ্রমিকরা চিৎকার শুরু করে যে- ফেরিতে পানি ঢুকছে, পানি ঢুকছে। আমি তাকিয়ে দেখি আস্তে আস্তে ফেরিটা ডান দিকে কাত হচ্ছে।
আমি মোটরসাইকেল ছেড়ে দিতেই ডুবে গেল। আমিও ডুবে যাই। পরে জুতা খুলে সাঁতার কেটে একটা কাভার্ডভ্যানের উপরে উঠি। একটা চেইন ঝুলতে দেখে সেটা ধরে পার হই।
শেষদিকে ৫-৭ জন যাত্রী আমাকে টেনে পারে তোলে। সুজন হোসেন নামে আরেক যাত্রী জানান, তার বাড়ি যশোর সদরে। ফেরি ঘাটে লাগার পর কয়েকটা পিকআপ নেমে যান। কিন্তু তার মোটরসাইকেলটা নদীতে পড়ে যায়। তিনি লাফ দিয়ে সাঁতরে তীরে উঠে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।